ছয় বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিল রোহিঙ্গা সম্প্রদায়। সামরিক দমন পীড়নে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিল এবং দশ লাখেরও বেশি মানুষকে অন্য দেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।
টম অ্যান্ড্রুস সতর্ক করেছেন যে যারা সে সময় ‘গণহত্যা চালিয়েছিল’ তারাই এখন দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষা তাদের অগ্রাধিকার নয়’।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানরা কয়েক দশক ধরে সহিংসতা, বৈষম্য এবং নিপীড়নের শিকার হয়েছে। কিন্তু ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের উত্তরে দেশটির সামরিক বাহিনী সবচেয়ে নৃশংস অভিযান শুরু করে।
সম্প্রতি মিয়ানমারে একটি অনুসন্ধান চালিয়ে ফিরেছেন অ্যান্ড্রুস। এবং নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের কাছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন।
আরব নিউজকে তিনি বলেছেন, ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এখন রাখাইন রাজ্যে বসবাস করছে। এদের মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার অস্থায়ী বন্দিশিবিরে আছে।
অ্যান্ড্রুস বলেন, ‘যারা গ্রামে বাস করছে, তাদেরও ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষগুলো নিজ গ্রামে বন্দী হয়ে আছে। তাদের বলতে গেলে কোনো অধিকার নেই। এই অবস্থার মধ্যে বসবাস করা খুব, খুব যন্ত্রণাদায়ক।’
জতিসঙ্ঘের এই বিশেষ প্রতিবেদক বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবদিহিতার অভাবে তাদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র: আরব নিউজ